ঘানা-উরুগুয়ে ম্যাচের নির্ধারিত সময় তখন শেষের পথে। হঠাৎ করে ক্যামেরার লেন্স ডাগআউটে বসে থাকা লুইস সুয়ারেজের দিকে। তিনি কাঁদছেন, জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকছেন। ‘এইচ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার এগিয়ে যাওয়ার খবর আসতেই সুয়ারেজ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কেননা কোরিয়ার ওই এগিয়ে যাওয়া যে তাদের বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাওয়ার গল্প লিখে দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়া পর্তুগালের বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর উরুগুয়ের সামনে সমীকরণ ছিল, ঘানার জালে অন্তত আরও একবার গোল দেওয়া। তবে শেষ দিকে এসে ওই সমীকরণ আর মেলানো হয়নি উরুগুয়ের। ফলে দলটির বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে যায়। এদিকে, নিজের শেষ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার পর মনের সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে তুলেছেন গুরুতর অভিযোগ।
দক্ষিণ কোরিয়ার এবং উরুগুয়ের পয়েন্ট সমান হলেও, গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি। সুয়ারেজের ক্ষোভের কারণ, ঘানার বিপক্ষে তাদের তোলা দুটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মনিটরে কয়েকবার রিপ্লে দেখে একটি পেনাল্টি দেননি রেফারি। এরপর ইনজুরি সময়ে এডিনসন কাভানি ডি-বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির জোর আবেদন জানায় উরুগুয়ে। সেই আবেদনও রেফারি নাকচ করে দেন।
অথচ সুয়ারেজের মত, দুটি পেনাল্টিই তাদের প্রাপ্য ছিল এবং ফিফা কখনই তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয় না। তিনি বলেছেন, ‘ডারউইনের (নুনেস) পেনাল্টি খুব স্পইষ্ট ছিল। এদিকেও (কাভানি) ফাউল করা হয়েছিল। মনে হচ্ছে উরুগুয়ের আরও ক্ষমতা থাকতে হবে। ফিফা সবসময় উরুগুয়ের বিপক্ষে থাকে। ’
এ সময় আগের ম্যাচের কথাও সামনে এনেছেন সুয়ারেজ। পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে উরুগুয়ে দ্বিতীয় গোলটি হজম করেছিল পেনাল্টি থেকে। সুয়ারেজের মতে, গোল পার্থক্যের হিসেবে ‘বিতর্কিত’ পেনাল্টি থেকে ওই গোলটি খেয়ে তাদের ‘ক্ষতি’ হয়েছে। নিজেদের বিপক্ষে যাওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা সম্পর্কে ফিফাকে ব্যাখা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুয়ারেজ বলেন, ‘এগুলো অজুহাত নয়, তবে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ঘটনাগুলোই ঘটছে।